1141. একটি রিলেশনাল ডাটাবেস মডেলে নিচের কোনটি দ্বারা Relation প্রকাশ করা হয়?
ডেটাবেসের একটি টেবিলের রেকর্ডের সাথে অন্য এক বা একাধিক টেবিলের রেকর্ডের সম্পর্ককে ডেটাবেস রিলেশন বলা হয়। সুতরাং রিলেশনাল ডেটাবেস মডেলে বিভিন্ন ডেটা টেবিলের মধ্যেই লজিক্যাল সম্পর্ক প্রকাশিত হয়।
1142. খাদ্য তৈরির জন্য উদ্ভিদ বায়ু থেকে গ্রহণ করে -
বায়ু ছাড়া কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদ কিছুই বাঁচতে পারে না। আমরা যে শুধু শ্বাসকার্যে বায়ু ব্যবহার করি তা নয়, বায়ু সমগ্র উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের জন্য খাদ্য যোগায়। আমাদের নিঃশ্বাস থেকে প্রতি মুহূর্তে বায়ুমণ্ডলে প্রচুর কার্বন ডাই-অক্সাইড যোগ হচ্ছে। উদ্ভিদ তাদের খাদ্য তৈরির জন্য বায়ু থেকে এই কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করছে এবং সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করছে।
1145. নিচের কোন প্রোগ্রামটি একটি সম্পূর্ণ কম্পিউটার প্রোগ্রামকে একবারে অনুবাদ ও সম্পাদন করে?
কম্পাইলার (Compiler) ও ইন্টারপ্রেটার (Interpreter) উভয়ই অনুবাদক প্রোগ্রাম হলেও কম্পাইলার উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা একটি সম্পূর্ণ প্রোগ্রামকে একসাথে অনুবাদ করে। অন্যদিকে ইন্টারপ্রেটার উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা একটি প্রোগ্রামকে এক লাইন এক লাইন করে অনুবাদ করে।
1146. বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় কোন্ যন্ত্রের মাধ্যমে-
স্পিকার মাইক্রোফোনের ঠিক বিপরীত কাজ করে অর্থাৎ বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত করে। যখন শব্দ থেকে তৈরি বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে অ্যামপ্লিফায়ার দিয়ে বিবর্ধিত করে স্পিকারে পাঠানো হয় তখন কাগজ বা হালকা ধাতুর তৈরি শঙ্কু বা কোনটি সামনে-পেছনে কম্পিত হয়ে যথাযথ শব্দ তৈরি করে।
কার্বোহাইড্রেট হলো কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত এক প্রকার জৈব রাসায়নিক পদার্থ। এতে C, H ও ০-এর অনুপাত যথাক্রমে ১: ২:১। কার্বোহাইড্রেট জীবদেহের শক্তির প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে।
তড়িৎদ্বার হলো ধাতব বা অধাতব বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ। এদেরকে ইলেকট্রনিক পরিবাহী বলা হয়। তড়িৎদ্বার তড়িৎ রাসায়নিক কোষের ইলেকট্রনিক পরিবাহী ও দ্রবণের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহের যোগসূত্র রক্ষা করে। তড়িৎ রাসায়নিক কোষ গঠনে দুটি তড়িৎদ্বার প্রয়োজন। একটি হলো অ্যানোড ও অপরটি ক্যাথোড। অ্যানোড তড়িৎদ্বারে জারণ বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
যে পানির ঘনত্ব বেশি সে পানিতে সাঁতার কাটা সহজ। সমুদ্রের পানিতে ২.৫% থেকে ৩.৫% লবণ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে যার ফলে পুকুর, নদী বা বিলের পানির চেয়ে সমুদ্রের পানির ঘনত্ব বেশি। তাই সমুদ্রের পানিতে সাঁতার কাটা সহজ হয়।
1150. কোনো কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ নাকি অবিশুদ্ধ তা কিসের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়?
গলনাঙ্ক নির্ণয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ নাকি অবিশুদ্ধ তা নির্ণয় করা যায়। যেহেতু প্রত্যেক বিশুদ্ধ কঠিন পদার্থের একটি নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক থাকে সেহেতু কঠিন পদার্থ একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় গলে থাকে। যদি দেখা যায় কোনো কঠিন পদার্থ তার গলনাঙ্ক ছাড়া অন্য কোনো তাপমাত্রায় গলছে সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে কঠিন পদার্থটি বিশুদ্ধ নয়। আবার যদি দেখা যায় কঠিন পদার্থটি একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার পরিসরে গলতে থাকে তাহলেও কঠিন পদার্থটি বিশুদ্ধ নয়।
সোডিয়াম এসিটেটকে সোডিয়াম ইথানয়েটও বলা হয়। এর সংকেত হলো CH3COONa । ইথানয়িক এসিড সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের জলীয় দ্রবণের সাথে বিক্রিয়া করে সোডিয়াম এসিটেট লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
CH3OOH + NaOH → CH3COONa + H₂O
ইথানয়িক এসিড সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড সোডিয়াম এসিটেট পানি
রঙিন (সবুজ ছাড়া) প্লাস্টিডকে ক্রোমোপ্লাস্ট বলে। ক্যারোটিন (কমলা-লাল) এবং জ্যান্থোফিল (হলুদ) পিগমেন্টের জন্যে এরা রঙিন হয়। উদ্ভিদের যেসব অঙ্গ বর্ণময় সেসব অঙ্গে ক্রোমোপ্লাস্ট থাকে। ক্রোমোপ্লাস্টের উপস্থিতির জন্য পুষ্প, পাতা, ফল ও বীজ সুন্দর হয়, তাই কীটপতঙ্গ আকৃষ্ট হয়ে পরাগায়নে সাহায্য করে। রঙের কারণে ফল এবং বীজের বিস্তারেও এদের ভূমিকা রয়েছে।
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭-এ ৮টি অংক (digit) ব্যবহৃত হয়। এ হিসেবে ১৭, ১০-১৭, ২০-২৭ ইত্যাদি হলো অক্টাল সংখ্যা। সুতরাং ৮, ৯, ১৮, ১৯, ২৮, ২৯ ইত্যাদি অক্টাল সংখ্যা নয়।
রেকটিফায়ার হলো একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ প্রবাহকে (যার দিক পর্যায়ক্রমিকভাবে পরিবর্তন হয়), একমুখী বিদ্যুৎ প্রবাহে রূপান্তরিত করে অর্থাৎ AC কে DC-তে রূপান্তর করে, যার দিক হলো একটি নির্দিষ্ট দিকে এবং এই প্রক্রিয়াকে রেকটিফিকেশন বা একমুখীকরণ বলে।
1155. ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের উৎস কি?
ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের উৎস হলো আইসোটোপ। যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন তাকে আইসোটোপ বলে। ক্যান্সার চিকিৎসায় সাধারণত কোবাল্ট (60C0) আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
1156. নিচের কোনটি একই সাথে ইনপুট ও আউটপুট হিসেবে কাজ করে?
স্মার্ট ফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা, মডেম, নেটওয়ার্ক কার্ড ইত্যাদি ডিভাইসের মতো টাচস্ক্রিনও একটি ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস। অন্যদিকে মাউস ও মাইক্রোফোন এবং প্রিন্টার আউটপুট ডিভাইস।
কোনো পরমাণুতে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যা (Z) ও নিউটন সংখ্যার (1) যোগফলকে ঐ পরমাণুর ভরসংখ্যা (A) বলে। যেহেতু ভরসংখ্যা হলো প্রোটন সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফল, কাজেই ভরসংখ্যা থেকে প্রোটন সংখ্যা বিয়োগ করলে নিউট্রন সংখ্যা পাওয়া যায়। প্রশ্নানুযায়ী ক্লোরিনের (CI) ভরসংখ্যা হলো 35, এর প্রোটন সংখ্যা 17, ফলে এর নিউট্রন সংখ্যা হচ্ছে A - Z = 35-17 = 18/
1159. মুদ্রিত লেখা সরাসরি ইনপুট নেয়ার জন্য নিচের কোন্টি ব্যবহৃত হয়?
OCR (Optical Character Recognition/Reader) মুদ্রিত বা হাতের লেখা মেশিনের পাঠযোগ্য করে তুলতে পারে এবং বিভিন্ন পার্থক্য বুঝতে পারে। অন্যদিকে MICR (Magnetic Ink Character Recognition/Reader) প্রধানত ব্যাংকে ব্যবহৃত চেক সরাসরি শনাক্ত করে। OMR (Optical Mark Reader) কাগজে দাগানো চিহ্ন শনাক্ত করে। Scanner লেখা, ছবি বা বস্তুর আকৃতিকে ডিজিটাল ছবিতে রূপান্তরিত করে।
যেসব জ্বালানি নানা প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া যায়, যেগুলোর মজুদ ভবিষ্যতে কখনো শেষ হবে না অর্থাৎ অর্থাৎ বারবার ব্যবহার করা যায় তাদেরকে নাবায়নযোগ্য জ্বালানি বলে। সূর্যরশ্মি, বায়োগ্যাস, পরমাণু শক্তি ইত্যাদি নাবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস। স্থিতিশীল টেকসই উন্নয়নের প্রথম শর্ত দূষণহীন বিকল্প শক্তির উৎস্যের সন্ধান করা।