141. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন কত সালে?
ব্যাখ্যাঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে প্রথম বাঙালি কবি হিসেবে ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলীর জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
ব্যাখ্যাঃ অগ্নিবীণা হচ্ছে কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যা প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালে। তার রচিত কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে- সর্বহারা, মরু ভাস্কর, সাম্যবাদী, প্রলয় শিখা। তাকে বিদ্রোহী কবি বলা হয়ে থাকে।
ব্যাখ্যাঃ চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন। তারই সম্পাদনায় ৪৭টি পদবিশিষ্ট পুথিখানি হাজার বছরের পুরানো বাঙলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা (১৯১৬) নামে বঙ্গীয় সাহিত্য কর্তৃক প্রকাশিত হয়। তিনি পুথির সূচনায় একটি সংস্কৃত শ্লোক থেকে নামের যে ইঙ্গিত পান তাতে এটি চর্যাচর্যবিনিশ্চয় নামেও পরিচিত হয়। তবে সংক্ষেপে এটি বৌদ্ধগান ও দোহা বা চর্যাপদ নামেই অভিহিত হয়ে থাকে।
148. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পদ্মা নদীর মাঝি' উপন্যাসে বিবৃত হয়েছে-
ব্যাখ্যা: 'পদ্মা নদীর মাঝি' উপন্যাসটি মানিক বন্দোপাধ্যায় রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে সর্বাধিক পঠিত, আলোচিত ও একাধিক বিদেশি ভাষায় অনূদিত জনপ্রিয় একটি উপন্যাস। এটি ১৯৪৮ সালে বাংলায় প্রকাশিত হয়। পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসটি বাংলাদেশের পদ্মা তীরবর্তী অঞ্চলের জেলে সম্প্রদায়ের জীবন চিত্র।
ব্যাখ্যাঃ বিদ্যাসুন্দর ষোড়শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে কবি সাবিরিদ খান রচিত একটি রোমান্টিক প্রণয়কাব্য। বিদ্যাসুন্দর কাব্যের কাহিনি কালিকামঙ্গলের অন্তর্গত। কবি তার এই গ্রন্থকে নাটগীত বলে উল্লেখ করেছেন। সাবিরিদ খান 'বিদ্যাসুন্দর', 'রসুল বিজয়' ও হানিফা কয়রাপরী নামে তিনটি খ্যাতিমূলক কাব্য রচনা করেন।
150. 'জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে'- কবিতাংশটির কবি কে?
ব্যাখ্যাঃ বেগম সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তার রচিত বিখ্যাত কবিতা জন্মেছি এই দেশে কবিতার চরণ হচ্ছে জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে। তার রচিত কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে- সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, মন ও জীবন, অভিযাত্রিক প্রভৃতি।
ব্যাখ্যাঃ কবি জীবনানন্দ দাশ-এর রচিত কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে রূপসী বাংলা। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে- বনলতা সেন, ঝরাপালক, প্রকাশকাল, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির। তাকে রূপসী করিও বলা হয়ে থাকে।