561. অল্প চাপ সূক্ষ্মভাবে পরিমাপ করতে ব্যবহার করা হয়-
ব্যাখ্যা: সঠিক উত্তর অপশনে নেই।
সঠিক উত্তর: ইনভারটেড ডিফারেনশিয়াল ম্যানোমিটার :
উল্টাভাবে সংযুক্ত ডিফারেনশিয়াল ম্যানোমিটারকে ইনভার্টেট ডিফারেনশিয়াল ম্যানোমিটার বলে, যা কেবল কম চাপের পার্থক্য সূক্ষ্মভাবে পরিমাপে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়াও ডেড ওয়েট প্রেসার গেজ দিয়েও অতি সূক্ষ্ম ও সঠিকভাবে চাপ পরিমাপ করা হয়।
পিজোমিটার: এর সাহায্যে মডারেট প্রেসার / মিডিয়াম প্রেসার মাপা যায়।
ব্যাখ্যা: অরিফিসঃ তরল দ্বারা পূর্ণ কোনো পাত্রের গায়ে (নিম্নাংশে, পার্শ্বদিকে, তলায়) যদি একটি ছিদ্র রাখা হয়, যাতে তরল ঐ ছিদ্রপথে বের হয়ে আসতে পারে, তবে ঐ ছিদ্রকে অরিফিস বলে।
ব্যাখ্যা: ম্যানোমিটারে পানির চাপ মাপার জন্য ভারী পদার্থ হিসেবে পারদ ব্যবহৃত হয়। কারণ অন্যান্য ভারী পদার্থের তুলনায় এর ঘনত্ব বেশি। পারদ পানি অপেক্ষা 13.6 গুণ ভারী, যার জন্য এর সাহায্যে উচ্চ চাপ মাপা সুবিধাজনক।
565. ভেনচুরি ভ্যাকুয়াম বলতে বুঝায় বায়ুর চাপ কম থাকে-
ব্যাখ্যা: ভেনচুরি ভ্যাকুয়াম: যদি ভেনচুরি মিটারের মধ্য দিয়ে তরল পদার্থ বায়ুমণ্ডলে নির্গমন হয় তাহলে চাপ অবশ্যই বায়ুমণ্ডলীয় চাপের চেয়ে কম হবে, তাই প্রোটে শূন্য চাপের সৃষ্টি হয়। এ শূন্য চাপকে ভেনচুরি ভ্যাকুয়াম বলে।
566. স্থির তরলে নিমজ্জিত কোনো বস্তুর ওপর মোট ঊর্ধ্বমুখী বল হলো-
ব্যাখ্যা: প্লবতাঃ তরলের ভেতর সম্পূর্ণ বা আংশিক নিমজ্জিত বস্তুকে তরল কর্তৃক প্রদত্ত ঊর্ধ্বচাপকে প্লবতা বলে। বস্তুর উপর তরলের প্লবতা ঊর্ধ্বচাপ বস্তু কর্তৃক অপসারিত তরলের সমান।
ব্যাখ্যা: বার্নোলির সূত্র: অবিশ্রান্ত ধারায় প্রবহমান কোনো খাঁটি অসংকোচনশীল তরল পদার্থ এক বিন্দু হতে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তরিত হওয়ার সময় তার প্রবাহপথের প্রত্যেক বিন্দুতে প্রত্যেক কণার মোট হেড সমান হবে। এটা এই ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত যে, তরলের প্রবাহপথে ঘর্ষণের জন্য কোনো হেডের অপচয় হয় না। বার্নোলির সূত্রের বাস্তব প্রয়োগ ঘটে-
(i) মিটার,
(ii) অরিফিস মিটার,
(iii) পিটট টিউবে
578. অতি উচ্চ চাপ মাপার জন্য কী গেজ ব্যবহার করা হয়?
ব্যাখ্যা: বার্ডন টিউব প্রেসার গেজ। বাতাসের চাপ হতে কম বা বেশি চাপ নির্ণয়ের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। এ গেজের মূলনীতি হলো, যেহেতু প্রবাহী সকল দিকে সমান চাপ দেয় সেহেতু বার্ডনস টিউবের ভেতরে সমপরিমাণ চাপ প্রযুক্ত হবে। বাইরের প্রবাহীর চাপ বৃদ্ধিতে টিউবের ভিতরের চাপও সমপরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
ব্যাখ্যা: প্লবতা: তরলের ভেতর সম্পূর্ণ বা আংশিক নিমজ্জিত বস্তুকে তরল কর্তৃক প্রদত্ত উর্ধ্বচাপকে প্লবতা বলে। বস্তুর উপর তরলের প্লবতা উর্ধ্বচাপ বস্তু কর্তৃক অপসারিত তরলের সমান।
ব্যাখ্যা: (ক) অর্কিমিডিস প্লবতার সূত্র আবিষ্কার করেন। সূত্রটি হলো: কোনো বস্তুকে (কঠিন) স্থির তরল কিংবা অন্য কোনো বায়বীয় পদার্থে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিমজ্জিত করলে এটা কিছু পরিমাণ ওজন হারায় বলে মনে হয় এবং ঐ আপাত ওজন হ্রাসের পরিমাণ অপসারিত তরল বা বায়বীয় পদার্থের ওজনের সমান। (খ) গ্যালিলিওঃ পড়ন্ত বস্তুর বিখ্যাত তিনটি সূত্র আবিষ্কার করেন।
(গ) নিউটনঃ বলবিদ্যার বিখ্যাত ৩টি সূত্র, মহাকর্ষ বলের সূত্র এবং গণিতের নতুন শাখা ক্যালকুলামের আবিষ্কার করেন।