সান্দ্রতা : তরলের দুটি তলে অনুভূত শিয়ার পীড়ন প্রতিরোধের ক্ষমতাকে তরলের সান্দ্রতা বলে। সান্দ্রতা প্রবাহীর হার নিয়ন্ত্রণ করে। সান্দ্রতার উপর তরলের গতি নির্ভর করে। তা ছাড়া তাপমাত্রার উপর সান্দ্রতার প্রভাব রয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লে তরল পদার্থের সান্দ্রতা (Viscosity) হ্রাস পায় এবং তাপামাত্রা বাড়লে গ্যাসের সান্দ্রতা (Viscosity) বৃদ্ধি পায়।
কৈশিকতা: ছোট ব্যামের কোনো টিউবকে পানিতে খাড়াভাবে ডুবালে টিউবের ভিতরের পানি খানিকটা উপরে উঠে এবং অবতল আকৃতি ধারণ করে। Cohesion/অসঞ্চন-এর চাইতে Adhesion (সংযুক্তি) বেশি হওয়ায় এরূপ হয়। আবার একই টিউব পারদের ভেতরে ডুবালে উত্তল আকার ধারণ করে এবং তল কিছুটা নিচে চলে যায়। এক্ষেত্রে Cohesion-এর চেয়ে Adhesion কম হওয়ায় এমনটি হয়। ছোট ব্যাসের টিউবে পানির এরূপ উপরে উঠার ঘটনাকে কৈশিকতা বলে। কৈশিকতার সাহায্যে তরলের পৃষ্ঠটান নির্ণয় করা হয়।
ব্যাখ্যা: আমরা জানি, তরল পদার্থের চাপের তীব্রতা এর গভীরতার সমানুপাতিক। অর্থাৎ, এর গভীরতা যত বৃদ্ধি পাবে চাপের তীব্রতাও তত বৃদ্ধি পাবে। তাই তরল পদার্থের তলদেশে চাপের তীব্রতা সর্বাধিক এবং উপরিতলে উচ্চতা হওয়ায় সেখানে চাপের তীব্রতাও শূন্য।
615. আণবিক আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে কী নির্ণয় করা হয়?
পৃষ্ঠটান: ভিন্ন ঘনত্বের দুটি তরল পদার্থ পরস্পরের সংস্পর্শে থাকলে স্পর্শ তলটি একটি বক্ররেখা সৃষ্টি করে। সাধারণত আণবিক আকর্ষণের ফলে উক্ত বক্ররেখা বা তলের সৃষ্টি হয়। তলটি একটি ইলাস্টিক স্কিনের ন্যায় কাজ করে এবং উভয় দিকে টান থাকে। এ টান বা টেনশনই পৃষ্ঠটান হিসেবে পরিচিত।
616. একটি ৪০ মিমি ব্যাসের পাইপের মধ্য দিয়ে ৩.৫ কিলো প্যাসকেল চাপে ১.৫ মি/সে. বেগে পানি প্রবাহিত হয়। যদি পাইপের ডেটাম হেড ৭.০ মিটার হয়, তবে প্রবাহের মোট শক্তি বা হেড কত মিটার? [BWDB-20]
ব্যাখ্যা: মোট শক্তি, H = Z+ V^2/2g + P/W
= 7 + (1.5^2)/2x9.81 + 3.5/(9.81 ) = 7.47 m
তরল পদার্থের মধ্যে তাপ বৃদ্ধি করলে এর আয়তন বৃদ্ধি পায়। একইভাবে তাপ হ্রাস করলেও এর আয়তন বৃদ্ধি পায়। এটি তরলের একটি বিশেষ গুণ, যার ফলে তরলকে সংকুচিত করা যায় না। তরলের এ ধর্ম ব্যবহার করেই বিভিন্ন হাইড্রোলিক মেশিন পরিচালিত হয়।
ব্যাখ্যা: আপেক্ষিক ওজন: আদর্শ চাপ ও তাপমাত্রায় একক আয়তনের ওজনকে আপেক্ষিক ওজন বলে। একে আপেক্ষিক ঘনত্বও বলা হয়। একে w দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
w=1 gm/cm (CGS)
= 1000 kg/m^3 (MKS) = 9.81 kN/m^3