ব্যাখ্যা: প্যাটার্নকে দুই ভাগে এমনভাবে ভাগ করা হ্যায় যাতে দুটি অংশের ছাঁচ একসঙ্গে জোড়া দিলে একটি সম্পূর্ণ ছাঁচ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে প্যাটার্নের উপরের অংশকে কোপ এবং নিচের অংশকে ড্র্যাগ বলে।
143. বালির গুণের সংঘবদ্ধতার উপর ভিত্তি করে যে গুণাগুণ নির্ধারিত হয় তাকে বলে--
পারমিয়্যাবিলিটি (Permeability): এক সেন্টিমিটার উচ্চতা এবং এক বর্গসেন্টিমিটার ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট একটি বালির নমুনায়। ভিতর দিয়ে প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে এক গ্রাম চাপে প্রতি মিনিটে যত ধনসেন্টিমিটার আয়তনের বাতাস বের হয়ে যেতে পারে তা দ্বারাই বালির পারমিয়্যাবিলিটি (বা পারমিয়্যাবিলিটি নাম্বার) নির্দেশিত হয়।
ব্যাখ্যা: মোল্ড (Mould) : ঢালাই পদ্ধতিতে কোনো বস্ত্র তৈরি করতে হলে প্রথমে বস্তুর অনুরূপ আকৃতি প্যাটার্নের সাহায্যে ফাঁকা স্থান তৈরি করতে হয়, এ ফাঁকা স্থানকে মোল্ড বা ছাঁচ বলে। বালি, মোম, লৌহজাত দ্রব্য ইত্যাদির সাহায্যে মোল্ড তৈরি করা হয়। মোল্ড প্রধানত দুই প্রকার, যথা-(ক) স্থায়ী মোল্ড (P'ermanent mould) (খ) অস্থায়ী মোল্ড (Temporary mould) করে।
148. মোল্ডিং বালির যে গুণের কারণে মোন্ডে গলিত ধাতু ঢালার পর সৃষ্ট বাতাস, বাষ্প বা গ্যাস সহজেই এর ভিতর দিয়ে বের হতে পারে, তাকে বলে-
ব্যাখ্যা: অ্যাডহেসিভনেস (Adhesiveness) : এটি মোল্ডিং বালির এমন একটি গুণ যার সাহায্যে এটি অন্য পদার্থের সঙ্গে লেগে থাকতে পারে, একে মোল্ডিং বালির আঠালতা বলে। এ কারণে মোল্ড তৈরি করলে এটি মোল্ডিং বাক্সে লেগে থাকে, যার ফলে মোল্ডিং বাক্স নড়াচড়া করলেও এটা ভেঙে পড়ে না।
কোহেসিভসেস (Cohesiveness) : মোল্ড ব্যবহৃত বালির মধ্যে যে গুণ বিদ্যমান থাকলে দানাগুলো পরস্পর গায়ে লেগে থাকে তাকে কোহেসিভনেস বলে। মোল্ডিং বালির দানাগুলোকে একত্রে জমাট বাঁধতে এ গুণটি অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ।
পারমিয়্যাবিলিটি (Permeability): গলিত ধাতুর মধ্যে কিছু
পরিমাণ দ্রবীভূত গ্যাস থাকে, যা ধাতু জমাট বাঁধার সময় প্রকাশ পায়। আবার গলিত ধাতু যখন অর্থে বালির সংস্পর্শে আসে তখন গরম জলীয়বাষ্পের সৃষ্টি হয়। এ গ্যাস এবং পানি বাষ্প যদি মোল্ডের ভিতর দিয়ে বের হওয়ার কোনো পথ না পায়, তাহলে এগুলো চালাইয়ে গ্যাস হোল, ক্ষুদ্র ছিদ্র বা লোমকূপের মতো ছিদ্রজাতীয় এটি সৃষ্টি করে। সুতরাং মোল্ডিং বালির যে গুণের জন্য এর মধ্য দিয়ে গ্যাস বা বাষ্প সহজেই বের হয়ে আসতে পারে, সেই গুণকে পারমিয়্যাবিলিটি বলে। প্লাসিস্টসিটি (Plasticity): এটি মোল্ডিং বালির এমন একটি গুণ যার কারণে র্যামিং প্রেসার এক স্থান হতে অন্য স্থানে বিস্তৃত হয়। আর র্যামিং করেই মোল্ডিং বালিকে প্রয়োজনীয় আকার প্রদান করা যায়।
ঢালাই কাজে নিম্ন লিখিত কারণে কোর ব্যবহার করা হয়:-
(ক) কাস্টিং-এর ভিতর কোনো স্থানে ফাঁকা স্থান, হোল রাখার জন্য কোর ব্যবহার করা হয়। ফাঁকা স্থান, হোল রাখার জন্য কোর ব্যবহার প্রয়োজন।
( খ ) গেট ও রানারের ক্ষয় হ্রাস করার জন্য কোর ব্যবহার করা হয়।
(গ) মোল্ডের ডলকে শক্ত এবং উন্নত করার জন্য।
( ঘ) গলিত ধাতু হতে অপদ্রব্য দূর করার জন্য স্ট্রেইনার কোর হিসেবে ব্যবহার করা হয়
ব্যাখ্যা: মোন্ড (Mould) : চালাই পদ্ধতিতে কোনো বস্ত্র তৈরি করতে হলে প্রথমে বস্তুর অনুরূপ আকৃতি প্যাটার্নের সাহায্যে ফাঁকা স্থান তৈরি করতে হয়, এ ফাঁকা স্থানকে মোল্ড বা ছাঁচ বলে। বালি, মোম, লৌহজাত দ্রব্য ইত্যাদির সাহায্যে মোল্ড তৈরি করা হয়।
মোল্ড প্রধানত দুই প্রকার, যথা-
(ক) স্থায়ী মোল্ড (Permanent mould) ও
(খ) অস্থায়ী মোল্ড (Temporary mould))