প্রায় সকল ধাতুই তাপে বাড়ে এবং ঠান্ডা হলে সংকুচিত হয়। তাই ধাতুর প্যাটার্ন প্রজুক্তির ক্ষেত্রে প্রথমে কাঠের প্যাটার্ন প্রস্তুত করে যে ধাতু ধারা ঢালাই করা হবে সেই ধাতুর সংকোচন অ্যালাউন্স যুক্ত করতে হয়। তা ছাড়াও অন্যান্য অ্যালাউন্স (যেমন- উত্তোলন, মেশিনিং, নড়াচড়া ইত্যাদির জন্য অ্যালাউন্স)-এর হিসেব করে ধাতব প্যাটার্ন প্রস্তুত করা হয়। সুতরাং ধাতব প্যাটার্নের এ মূল কাঠের পাটার্নকে মাস্টার প্যাটার্ন বলে।
ব্যাখ্যা: এটি একপ্রকার তাপ নিরোধক পদার্থ। এটি গলন চুল্লির অভ্যন্তরে তাপসহগ (Heut (naulation) হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গলন কাজে সৃষ্ট উচ্চ চাপ ও তাপ সহ্য করে যে পদার্থ চুল্লির আবরণকে অক্ষত রাখে, তাকে রিফ্যাক্টরি বলে।
174. কিউপোলা ফার্নেসে রিডিউসিং জোনের তাপমাত্রা মোটামুটি কত?
ব্যাখ্যা: রিডিউসিং জোন (Reducing zone): প্রজ্জ্বলন জোনের উপরের অংশকে রিডিউসিং জোন বলে। এই জোনে সংঘটিত নিচের তাপবোধী বিক্রিয়া অনুসারে তাপ কমে যায়। এই জোনকে সংরক্ষিত জোনও বলে (Protective)। কারণ বাতাস না যেতে পেরে চার্জে অক্সিজেন সংযোগ হতে পারে না। এই জোনের তাপমাত্রা মোটামুটি 2192°F)
175. প্যাটার্নে মেশিনিং-এর জন্য কী ধরনের অ্যালাউন্স রাখা হয়?
১। সংকোচন অ্যালাউন্স (Shrinkage allowance) : ঢালাই কার্যে ছাঁচের মধ্যে গলিত ধাতু যখন ঠান্ডা হয়ে জমাট বাঁধতে শুরু করে তখন এটি কিছুটা সংকুচিত হয়। এতে আকার ছোট হয়ে যায় বলে তা ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে প্যাটানটি কিছুটা বড় করে তৈরি করা হয়।
২। ফিনিশিং অ্যালাউন্স (Finishing allowance or machining allowance): সাধারণত ঢালাইকৃত বস্তুর তল মসৃন থাকে না। তাই এ তলকে মসৃণ করার জন্য মেশিনিং করা হয়। অতএব, মেশিনিং এর জন্য প্যাটার্নে যে অ্যালাউন্স রাখা হয়, তাকে মেশিনিং বা ফিনিশিং অ্যালাউন্স বলে।
৩। ড্রাফ্ট অ্যানাউন্স (Drofi allowance or taper allowance) 2 অনেক সময় মোল্ড হতে প্যাটার্নকে উত্তোলন করতে গেলে মোল্ডের কিনারা ভেঙে যেতে পারে। প্যাটার্নের খাড়া তলটি নিচের দিকে সত এরে এ অসুবিধা অনেকাংশে দূর করা যায়। সুতরাং, মোল্ডের ক্ষতিসাধন না করে সহজেই মোল্ড হতে প্যাটার্নকে তুলে আনার জন্য প্যাটার্নে যে অ্যালাউন্স রাখা হয়, তাকে ড্রাফট বা টেপার অ্যালাউন্স বলে।
৪। র্যাপিং বা শেকিং অ্যালাউন্স (Rapping or shaking allowance) : মোল্ড হতে প্যাটার্নকে উত্তোলনের পূর্বে প্যাটার্নের পিঠে ড্র পিন (Draw Pin of Draw-spide) আটকিয়ে প্যাটার্নটিকে কিছুটা নড়াচড়া করানো হয়। একে মোল্ডটি একটি বড় হয়ে প্যাটার্নকে সহজে বাইরে উঠিয়ে আনতে সাহায্য করে। এ কারণে মোন্ডটি নির্দিষ্ট মাপ অপেক্ষা কিছুটা বড় (tightly increase in size হয়ে যায়। এ কারণে উৎপাদিত ঢালাই বস্তুটি বড় হয়ে যায়। এ অসুবিধা দূর করার জন্য প্যাটানটি খানিকটা ছোট করে তৈরি করা হয়। সাধারণত ড্রাফট অ্যানাউন্স বাড়িয়ে শেকিং অ্যানাউন্স বিয়োগ করা হয় বলে একে নেগেটিভ আলাউল (Negeme allowance)- বলা যেতে পারে।
৫। বিকৃতি অ্যালাউন্স (Distortion or camber allowance) অনেক সময় ঢালাইকৃত বন্ধুর আকার, আকৃতি ও ব্যবহৃত ধাতুর কারণে ঢালাই ঠান্ডা হওয়ার সময় মুচড়িয়ে বা বিকৃত হয়ে যেতে পারে। বস্তুটির বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন সংকোচন (Uneven shrinkage) বা ধাতুর পুরুত্ব বা জায়গায় সমান না থাকার কারণে এ বিকৃতি ঘটতে পারে বা বস্তুটি বেঁকে যেতে পারে। এরূপ বেঁকে যাবার ধরন লক্ষ রেখে যেদিকে বেঁকে যায় তার বিপরীত দিকে অল্প একটু বাঁকা করে প্যাটার্ন তৈরি করা হয়। একে বিকৃতি অ্যালাউন্স বলে।
ব্যাখ্যা: অ্যাসিড রিফ্যাক্টরি: যে সকল রিফ্র্যাক্টরিতে সিলিকার উপাদান বেশি থাকে, সেগুলোকে অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্টরি বলে। যেমন-সিলিকা, ফায়ার ক্লে ।
বেসিক রিফ্ল্যাক্টরি:যে সকল রিফ্যাক্টরিতে মেটাল অক্সাইড জাতীয় অ্যাসিড থিফ্র্যাক্টরির বিপরীতধর্মী পদার্থ বিদ্যমান থাকে তাকে বেসিক রিফ্র্যাক্টরি বলে। যেমন- ম্যাগনেশিয়াম, ডলোমাইট, চুল ইত্যাদি।
নিউট্রাল রিফ্যাক্টরি : যে সকল রিফ্যাক্টরিতে অ্যাসিড বা বেসিক জাতীয় কোনো বিক্রিয়া নেই, তাকে নিউটাল বিফ্যাক্টরি বলে। যেমন- গ্রাফাইট, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি।
179. মোল্ড হতে প্যাটার্ন উত্তোলনের সময় মোল্ডের কিনারা যেন ভেঙে না যায় সে-জন্য প্যার্টানে কী ধরনের অ্যালাউন্স রাখা হয়?
ব্যাখ্যা: ড্রাফট অ্যালাউন্স (Draft allowance) : প্যাটার্নের খাড়া অংশসমূহ সোজা থাকলে মোল্ড থেকে তোলার সময় মোল্ড দেয়াল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্যাটার্ন উত্তোলনকালে মোল্ডের খাড়া অংশসমূহকে ভাঙার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্যাটার্নের খাড়া পার্শ্বসমূহ কিছুটা টেপার করে দেয়া হয়, একে ড্রাফট বা টেপার অ্যালাউন্স (Draft or taper) বলা হয়। এতে প্যাটার্ন তোলার সময় প্যাটার্ন ও মোল্ডের মধ্যে কিছুটা ক্লিয়ারেন্স সৃষ্টি হয়, ফলে মোল্ড ভাঙে না।