'কবর' ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত। ১৯৫৩ সালের ১৭ জানুয়ারি নাটকটি রচিত হয়; তখন তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাজবন্দী জানা যায়, আরেক রাজবন্দী রণেশ দাশগুপ্ত মুনীর চৌধুরীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন জেলখানায় মঞ্চস্থ করা যায় এমন একটি নাটক লিখে দেয়ার জন্য।
কবিতার কথা বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান বাঙ্গালী কবি জীবনানন্দ দাশের প্রথম প্রবন্ধ গ্রন্থ যা তার মৃত্যুর পর প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। জীবনানন্দ দাশের প্রাবন্ধিক পরিচয় অদ্যাবধি বিশেষ কোন মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়নি। তবে তিনি বেশ কিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধ-আলোচনা লিখেছিলেন যার প্রতিটি অত্যন্ত মৌলিক চিন্তা-ভাবনার স্বাক্ষর বহন করে। কবিতার কথা গ্রন্থের প্রবন্ধাবলী বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তার 'কবিতার কথা' শিরোনামীয় প্রবন্ধের প্রথম বাক্যাংশ 'সকলেই কবি নয়। কেউ কেউ কবি' বাংলা সাহিত্যে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ একটি প্রবচন।
110. বাংলা উপন্যাস সহিত্যে 'মজিদ' চরিত্রটি কোন উপন্যাসিকের সৃষ্টি?
লালসালু উপন্যাসের মজিদ একটি প্রতীকী চরিত্র - কুসংস্কার, শঠতা, প্রতারণা এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। লালসালু উপন্যাসের চরিত্র হলো রহিমা, জমিলা, খালেক ব্যাপারী, আক্কাস, আমেনা ইত্যাদি।
মৈমনসিংহ গীতিকা একটি সংকলনগ্রন্থ যাতে ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রচলিত দশটি পালাগান লিপিবদ্ধ করা হয়ে। প্রথম খন্ডের দশটি পালার রচয়িতা ভিন্ন ভিন্ন হলেও সংগ্রাহক চন্দ্রকুমার দে। এই গানগুলো প্রাচীন কাল থেকে মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে আসছে। তবে ১৯২৩-৩২ সালে ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন এই গানগুলো অন্যান্যদের সহায়তায় সংগ্রহ করেন এবং স্বীয় সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রকাশ করেন। তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোণা মহকুমার আইথর নামক স্থানের আধিবাসী চন্দ্রকুমার দে এসব গাথা সংগ্রহ করছিলেন। এই গীতিকাটি বিশ্বের ২৩টি ভাষায় মুদ্রিত হয়।
'চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাসের নায়ক একজন স্কুলশিক্ষক নাম আরেফ আলী, ঔপন্যাসিক তাকে যুবক শিক্ষক বলে বারবার অভিহিত করেছেন। তাঁর এক মহৎ সাহিত্য কর্ম 'চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের সার্থক উপন্যাস।