কার্বন মনোক্সাইড (CO₂) একটি বর্ণহীন, গন্ধহীন ও স্বাদহীন বিষাক্ত গ্যাস। এ গ্যাস প্রাণিকুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। কার্বন মনোক্সাইড মানুষের অজান্তেই খুব সহজেই শ্বাসের সাথে ফুসফুসে চলে যায়। সেখানে গিয়ে এ গ্যাস ব্যাপন প্রক্রিয়ায় রক্তে প্রবেশ করে এবং রক্তের হিমোগ্লোবিনের সাথে একটি জটিল যৌগ তৈরি করে।
Hb + CO →Hb(CO)
জটিল যৌগ
এর ফলে অক্সিজেন বহুরূপে কাজ করতে পারে না, শ্বাসকষ্ট হয় এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এজন্য কার্বন মনোক্সাইডকে নীরব ঘাতকও বলা হয়।
সংকোচন ঘাত (Compression stroke)? এই স্ট্রোকে উভয় ভালভ বন্ধ থাকে। পিস্টন বিডিসি হতে টিডিসি-এর দিকে যেতে থাকে। চার্জ রুদ্ধতাপে সংকুচিত হয়ে ক্লিয়ারেন্স ভলিউমে অবস্থান করে। এতে এয়ার ফুয়েল চার্জের চাপ বেড়ে 6-10 kg/cm² এবং তাপমাত্রা বেড়ে 250°C-300°C এ পরিণত হয়।
প্রজ্বলন (Combustion) : এয়ার ফুয়েল মিক্সচার ইলেকট্রিক স্পার্কের (স্পার্ক ভোল্টেজ 10,000 25,000V) সাহায্যে প্রজ্বলন ঘটানো হয়। দহন ক্রিয়া সমায়তনে সংঘটিত হয়। দহনের ফলে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে 2000°C. এ পৌঁছে এবং চাপও অনেক বেড়ে যায় (প্রায় 30-35kg/cm²)।
89. একটি ভালো ইঞ্জিনের আয়তনিক দক্ষতা (Volumetric efficiency) কত প্রকার?
নরমাল টেম্পারেচার এবং প্রেসারে (NTP) ইঞ্জিন সিলিন্ডারে শোষিত বাতাস ও জ্বালানির মিশ্রণের প্রকৃত পরিমাণ এবং সিলিন্ডারের সর্বমোট আয়তন (সোয়েন্ট আয়তন), এ দুয়ের মধ্যকার অনুপাতকে আয়তনিক দক্ষতা বা ভলিউমেট্রিক ইফিসিয়েন্সি বলে। একটি ভালো ইঞ্জিনের Volumetric efficiency নিম্নোক্ত ধরনের হয়ে থাকে-
Petrol engine: 70%-80% পর্যন্ত
Diesel engine: 75% 86% (সুপার চার্জহীন)
8.5%-95% (সুপার চার্জসহ)
প্রসারণ ঘাত (Expansion or Working stroke) : এই স্ট্রোকে উভয় ভালভ বন্ধ থাকে। প্রজ্বলিত গ্যাসের চাপে পিস্টন টিডিসি হতে বিডিসি-এর দিকে চলে যায়। এ প্রসারণ রুদ্ধতাপে সংঘটিত হয়। পিস্টনের এ সম্প্রসারণ ক্রিয়া দিয়ে ক্র্যাঙ্কশ্যাফট ঘূর্ণন গতি লাভ করে।
সংকোচন ঘাত (Compression stroke) : এই স্ট্রোকে উভয় ভালভ বন্ধ থাকে। পিস্টন বিডিসি হতে টিডিসি-এর দিকে যেতে থাকে। চার্জ রুদ্ধতাপে সংকুচিত হয়ে ক্লিয়ারেন্স ভলিউমে অবস্থান করে।
সিএনজি (CNG) মানে হচ্ছে- Compressed Natural Gas বা সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস। সিএনজি গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো- মিথেন (CHL), যা শতকরা প্রায় ৮০-৯০ ভাগ। বাংলাদেশে পাওয়া প্রাকৃতিক গ্যাসের শতকরা ৯৯% হলো বিশুদ্ধ মিথেন। মিথেন গ্যাসকে প্রায় ২০০-২৪৮ বার চাপে সংকুচিত করে CNG-তে রূপান্তর করা হয়।
টার্বো-চার্জিং (Turbo-charging): Exhaust gas দ্বারা Compressor পরিচালিত করে উচ্চ তাপীয় এবং চাপীয় বাতাস ইঞ্জিনে প্রবেশের মাধ্যমে ইঞ্জিনের ক্ষমতা বা দক্ষতা বাড়ানো যায়।
সুপারচার্জিং (Supercharging) : ক্র্যাঙ্কশ্যাফটের দ্বারা Compressar পরিচালিত করে অনেক বেশি উচ্চতাপীয় এবং চাপীয় বাতাস ইঞ্জিনে প্রবেশের মাধ্যমে ইঞ্জিনের ক্ষমতা বা দক্ষতা বাড়ানো যায়।
জ্বালানির উত্তাপন মান (Calorific value of fuel): একক ভরের কোনো কঠিন বা তরল জ্বালানির পরিপূর্ণ দহন হতে যে পরিমাণ তাপ পাওয়া যায়, তা-ই হলো ঐ জ্বালানির উত্তাপন মান (Calorific value)।