বল (Force) : যা কোনো বস্তুর উপর ক্রিয়া করে ত্বরণ সৃষ্টি করে বা করতে চায়, তাকে বল বলে। বস্তুর ভর ও জ্বরণের গুণফল দ্বারা বলের পরিমাপ করা হয়।
অর্থাৎ, বল (F) = ভর (m) × ত্বরণ (g)
=ভর x = বেগ/সময় ভর [ত্বরণ = বেগ/সময় ]
=ভর × সরণ /(সময়) ^2 [বেগ তুরণ = সরণ /সময়]
দুই বা ততোধিক বলের সন্ধির মান শূন্য হয়, তখন বলগুলো। সাম্যাবস্থায় আছে বলে ধরে নেওয়া হয়, একে বলের ভারসাম্য বলে। সাম্যাবস্থার শর্ত চারটি।
সাম্যাবস্থার সমীকরণ:
(i). X অক্ষ বরাবর বলগুলোর বীজগাণিতিক যোগফল শূন্য। ∑F = 0
(ii) Y অক্ষ বরাবর বলগুলোর বীজগাণিতিক যোগফল শূন্য। ∑F = 0
(ii) Z অক্ষ বরাবর বলগুলোর বীজগাণিতিক যোগফল শূন্য। ∑F = 0
(iv) বলগুলোর মোমেন্টের বীজগাণিতিক যোগফল শূন্য: ∑M = 0
নিউটনের প্রথম সূত্র (Newton's First low) 2 বাহ্যিক বল প্রয়োগে বস্তুর অবস্থার পরিবর্তন করতে বাধ্য না করলে স্থির বন্ধু চিরকাল স্থিরই থাকবে এবং গতিশীল বস্তু সমবেগে সরল পথে চলতে থাকবে।
ওজন (Weight): কোন একটি বস্তু যে পরিমাণ বল দ্বারা পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হয়, তাকে তার ওজন বলে। একে W দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
W= mg
= 1 kg x 9.81 m/s²
=9.81 N
ভেক্টর রাশি : যে-সকল ভৌত রাশিকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার জন্য মান ও দিন উভয়ের প্রয়োজন হয়, তাদেরকে ভৈক্টর বা দিক রাশি বলে। যেমন- সরণ, বেগ, ত্বরণ, মন্দন, বল, ওজন ইত্যাদি।
নোট: কাজ এবং শক্তির একক হলো জ্বল (Joule বা J) বলের একক হলো নিউটন (Newton বা N ) ক্ষমতার একক হলো ওয়াট (Wan বা W)। সুতরাং, প্রশ্নে উল্লিখিত "ক" এবং "ঘ" দুটি উত্তরই সঠিক।