46. সবচেয়ে বড় ধরনের নিউক্লিয়ার প্লান্টের অবস্থান কোথায়?
ফুকুশিমা দাইইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি মোট ৩.৫ বর্গ কিলোমিটার (৮৬০ একর) এলাকায় নিয়ে গঠিত, যা জাপানের ফুকুশিমা জেলার ফুটাদা ও ওকুমা শহরে অবস্থিত। জাপানে ২০১১ সালের ১১ মার্চ ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প এবং সুনামি আঘাতের স্বারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বড় ক্ষতি হয়।
47. বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবস্থান কোথায়?
(ক) যৌথ মালিকানাধীন হিসাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাওয়ার প্লান্ট আশুগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট (অতীতে)। যার উৎপাদন ক্ষমতা 1690MW. আমর এই 1690MW বিদ্যুৎ ৮টি ইউনিটের মাধ্যমে উৎপাদন করে থাকে।
(খ) একক মালিকানাধীন হিসাব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাওয়ার প্লান্ট পায়রা তাপীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্র (বর্তমানে)। যার উৎপাদন ক্ষমতা 1320MW। আর এই 1320MW বিদ্যুৎ দুটি ইউনিটের মাধ্যমে উৎপাদন করে থাকে। প্রত্যেক ইউনিটে 660MW বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে তাকে।
54. বায়ুশক্তি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ দক্ষতা লাভ করা যায় যখন বাতাসের গতি ঘণ্টায়-
NREL প্রদত্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা বিশেষত খুলনার দাকোপ, চট্টগ্রামের আনোয়ারা এবং চাঁদপুরের নদী মোহনার এলাকা সমূহে ১০০ মিটার উচ্চতায় বাতাসের গড়বেগ ৬ মিঃ/সেঃ এর বেশি যা বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে অভ্যন্ত সম্ভাবনাময়। উক্ত প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশের প্রায় ২০,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে যেখানে বাতাসের বেগ ৫.৭৫-৭,৭৫ মিঃ/সেঃ যার মাধ্যমে প্রায় ৩০,০০০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। যদিও এই পরিসংখ্যান অনেকগুলো নিয়ামকের উপর নির্ভরশীল তবুও প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে বায়ু বিদ্যুতের প্রসার যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক।